২২তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ১৫তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ডিসেম্বর ২,তথ্যবিবরণী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ১৫তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“সারাদেশে একইসাথে ৩ ডিসেম্বর ২২তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ১৫তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবস দু’টি উপলক্ষে আমি দেশের সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘ইৎবধশ নধৎৎরবৎং ড়ঢ়বহ ফড়ড়ৎং: ঋড়ৎ ধহ রহপষঁংরাব ঝড়পরবঃু ভড়ৎ ধষষ’ অর্থাৎ ‘বাধ ভাঙ্গো, দুয়ার খোলো: একীভূত সমাজ গড়ো’- যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
প্রতিবন্ধীতা কোন অস্বাভাবিকতা নয়, এটি মানব বৈচিত্র্যেরই অংশ। সরকার দেশের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল ¯্রােতে সম্পৃক্ত করতে গত পাঁচ বছরে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। আমরা দেশের ৬৪টি জেলায় ৬৮টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র চালু করেছি। প্রায় দেড় লাখ প্রতিবন্ধীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা, প্রশিক্ষণ ও সহায়ক উপকরণ প্রদান করা হয়েছে। প্রতিবন্ধীদের জন্য ঢাকায় জাতীয় বিশেষ শিক্ষা কেন্দ্র, অটিজম রির্সোস সেন্টার, অবৈতনিক অটিস্টিক স্কুল ও কর্মজীবী প্রতিবন্ধী পুরুষ ও নারীদের জন্য হোস্টেল চালু করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ ‘ওয়ান স্টপ থেরাপি সার্ভিস’এর মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী থেরাপি ও অন্যান্য চিকিৎসা পাচ্ছেন। আমরা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ চালু করেছি যেখানে নারী, শিশু, অটিস্টিক ও অন্যান্য প্রতিবন্ধী রোগীর বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ রাখা হয়েছে।
আমরা প্রতিবন্ধী সম্পর্কিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ এবং নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছি। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হয়েছে। সরকারি চাকুরিতে প্রতিবন্ধীদের জন্য ১০ শতাংশ পর্যন্ত কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে।
স্পেশাল অলিম্পিকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আমাদের প্রতিবন্ধীগণ অসামান্য কৃতিত্ব প্রদর্শন করে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছেন। ক্রীড়া ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের সুযোগ সুবিধা আরো বৃদ্ধি করতে একটি মাল্টিপারপাস ক্রীড়া কমপ্লেক্স স্থাপনের কাজ চলছে।
সরকারের পাশাপাশি প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে বেসরকারি সংগঠন, ব্যক্তি ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান আরো এগিয়ে আসবেন – এ প্রত্যাশা করছি।
আমি ২২তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ১৫তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস ২০১৩ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।” (বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না)