স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের গার্মেন্টস কারখানা পুনরায় চালু করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থায়ন উদ্যোগ
ঢাকা, ৮ ডিসেম্বর, (এনএসনিউজওয়্যার) — ০৮ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সঙ্গে সম্প্রতি গাজীপুরের কোনাবাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের মালিক পক্ষের একটি প্রতিনিধি দল এবং স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপকে ঋণ প্রদানকারী ৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) একটি বৈঠক গভর্নর মহোদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সর্বজনাব মোঃ আতিকুল ইসলাম, সভাপতি, বিজিএমইএ; জনাব আতিকুর রহমান, চেয়ারম্যান, স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ; জনাব মোশাররফ হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ এবং স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপকে অর্থায়নকারী ৫টি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাগণ। বৈঠকে অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের গার্মেন্টস কারখানাটি পুনরায় চালু করতে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে উৎপাদন উপকরণাদি আমদানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ঊউঋ) এর আওতায় সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা এবং বিদ্যমান ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের আবেদনের ভিত্তিতে আলোচনা হয়। আলোচনান্তে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয় ঃ
১। বিদ্যমান ঊউঋ নীতিমালার আওতায় স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের চাহিদার প্রেক্ষিতে তাদের অনুকূলে মাঃ ডঃ ২৫.০০ মিলিয়ন ১% হ্রাসকৃত সুদহারে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হবে। এছাড়া, বৈদেশিক মুদ্রায় দীর্ঘ মেয়াদে ৩টি বিদেশী ব্যাংক আরো মাঃ ডঃ ২৫.০০ মিলিয়ন ঋণ সুবিধা প্রদান করবে।
২। স্থানীয় মুদ্রায় বিদ্যমান দায়-দেনা অর্থায়নকারী ব্যাংকের সম্মতি সাপেক্ষে ডাউন পেমেন্ট ব্যতিরেকে এক বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ পাঁচ বছর মেয়াদে পুনঃতফসিল/পুনর্গঠন করা হবে। পুনঃতফসিলকৃত/পুনর্গঠিত ঋণের সুদহার ব্যাংকের তহবিল ব্যয়ের চেয়ে বেশি হবে না।
৩। বিদ্যমান বকেয়া ঋণ মেয়াদপূর্তিতে ৬ মাস করে ৩ বছর পর্যন্ত শুধুমাত্র আসল নবায়ন করা যায়। অর্থায়নকারী ব্যাংকসমূহ একই নিয়ম অনুসরণ করবে। এ সুবিধা স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ এর অধীন ঊউঋ সুবিধা গ্রহণকারী সকল প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে, স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের কোন্ কোন্ প্রতিষ্ঠান এ সুবিধা গ্রহণ করতে আগ্রহী তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংককে নিশ্চিত করতে হবে।
৪। বিদ্যমান বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন ব্যবস্থায় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে স্থাপিত রপ্তানিকারকের রিটেনশন হিসাব (ইআরকিউ) স্থিতি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানই তার প্রয়োজনীয় বৈদেশিক ব্যয় বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই নির্বাহ করতে পারে। স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপভুক্ত চলমান প্রতিষ্ঠানসমূহের ইআরকিউ হিসাবের স্থিতি অপরাপর ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের আবশ্যকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ তাদের অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে (বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ) আবেদন করলে তা বিবেচনা করা হবে।
৫। বিদ্যমান বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন ব্যবস্থায় প্রত্যাবাসিত রপ্তানি মূল্য হতে আমদানি দায় নির্বাহের জন্য ঐ রপ্তানি মূল্য মার্জিন হিসাবে (ঝরহমষব চড়ড়ষ অ/প) সর্বোচ্চ এক মাস সংরক্ষণ করা যায়। ঝরহমষব চড়ড়ষ অ/প এ রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা দ্বারা রপ্তানিকারকের আমদানি দায় নির্বাহ করা হয়। সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারকের অনুকূলে প্রত্যাবাসিত রপ্তানি মূল্য দ্বারা আমদানি ব্যয় নির্বাহের পর অবশিষ্ট স্থিতি একই গ্রুপভুক্ত অপরাপর ক্ষতিগ্রস্থ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ অনুমোদনের আবশ্যকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের প্রস্তাব অনুযায়ী তার অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করা হলে তা বিবেচনা করা হবে।
৬। কাঁচামাল ও ক্যাপিটাল মেশিনারী আমদানির জন্য স্থাপিতব্য ঋণপত্রের ক্ষেত্রে কেইস-টু-কেইস ভিত্তিতে যে ঋণপত্রের জন্য যতটুকু সময় দরকার গ্রাহকের চাহিদা মতো তা বাংলাদেশ ব্যাংক বিবেচনা করবে।