লোক ও কারুশিল্প বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতিচ্ছবি
ঢাকা, ডিসেম্বর ০১, প্রেস বিজ্ঞপ্তি: তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, লোক ও কারুশিল্প বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতিচ্ছবি।
তিনি আজ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
সাত দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের খ্যাতিমান ৩৯ জন কারুশিল্পী তাদের দৃষ্টিনন্দন শিল্পসামগ্রী নিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন, যারা সবাই গত ২০ জুলাই থেকে ১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ পর্যন্ত জাপানে অনুষ্ঠিত সেতোশি ইন্টারন্যাশনাল আর্ট ফেস্টিভ্যাল ২০১৩ ( ঝবঃড়ঁপযর ওহঃবৎহধঃরড়হধষ অৎঃ ঋবংঃরাধষ ২০১৩) তে অংশগ্রহণ করেছিলেন। জামদানি, নকশিকাঁথা, দারুশিল্প, মৃৎশিল্প, শোলাশিল্প, বেতশিল্প, শঙ্খশিল্প, নৌকাশিল্প, বাঁশি, একতারা-দোতারা, পাটশিল্প, ঢোল, ধাতবশিল্প, বাঁশশিল্প, নকশি পিঠাসহ সর্বমোট ২৬টি শিল্পকর্ম এ প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারীতে আয়োজিত এ প্রদর্শনী আজ থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল
৯:৩০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, লোক ও কারুশিল্প আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলার প্রান্তিক পর্যায়ের একদল সৃজনশীল মানুষ তাদের মেধা, মনন, অনুভূতি, ধারণা ও চেতনাকে প্রস্ফুটিত করে তৈরি করে নান্দনিক কারুকাজ সমৃদ্ধ চমৎকার সব শিল্পকর্ম। প্রাচীনকাল থেকে তাদের তৈরি কারুকাজময় শিল্পকর্ম বাঙালির সংস্কৃতিকে অলংকৃত, সমৃদ্ধ ও মর্যাদার আসনে উন্নীত করেছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা আমাদের অন্যতম জাতীয় দায়িত্ব। এ শিল্প সম্প্রসারণে প্রধান বাঁধা হলো ধর্মীয় মৌলবাদী ও উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠী। এদের যখনই আবির্ভাব হয়, তখনই এই সৃজনশীল ক্ষেত্রগুলোর অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। এরা কখনোই বাঙালি সংস্কৃতি, বাংলা ভাষা-সাহিত্য ও শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়না। তাদের সকল চক্রান্ত রুখে দিয়ে এ মহান শিল্পের অগ্রযাত্রায় আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি এম আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংস্কৃতি সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক প্রকাশ চন্দ্র দাস।
পরে মন্ত্রী বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।