বেসরকারি নির্বাচন পর্যবেক্ষণে জাপানি অনুদান
জাপান সরকার ১০ম জাতীয় সংসদ সহ বাংলাদেশের নির্বাচনসমুহকে বেসরকারিভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য সহায়তা দিবেন। নির্বাচনসমুহ নিরপেক্ষ ও অবাধ করার প্রচেষ্ঠায় “গ্র্যান্ট এ্যাসিস্টেন্স ফর দা গ্র্যাস-রুটস হিউম্যান সিকিউরিটি প্রজেক্ট” (জিজিএইচএসপি) এর অধিনে বেসরকারি নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্হা ‘ফেমা’কে ১২১,৫১৪ মার্কিন ডলার আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
ঢাকা, ডিসেম্বর ২, প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ঢাকাস্হ জাপানের রাষ্ট্রদূত মান্যবর শিরো সাদোশিমা ও ফেমা’র সভাপতি মিস মুনিরা খান এ বিষয়ে আজ জাপান দূতাবাসে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। প্রকল্পের চুক্তি-স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, “ গ্রহনযোগ্য ও পূর্ণ-অংশগ্রহনমুলক নির্বাচনী প্রক্রিয়া, গনতন্ত্রায়নের জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ন – এ জন্য কাজকরতে পেরে আমরা আনন্দিত”। তিনি শান্তিময় পরিবেশে এবং সঠিক সময়ে আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আশাবাদ ব্যাক্তকরেন।
ফেমা এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৩০০টি আসনে মোট ১৫৫০ জন পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করবে। নির্বাচনী আইন ও প্রশাসনিক কাঠামোর সাথে সামন্জস্য বজায় রেখে পর্যবেক্ষনণের কাজ করার উদ্দেশ্যে পর্যবেক্ষকদের জন্য ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ভোটারদের মাঝে ভোটাধিকারের গুরুত্ব প্রচার করে জনসাধরনকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহনের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হবে। ফেমা ইতিপূর্বেও জাতীয় নির্বাচন, সিটি কর্পোরেশন ও বিভিন্ন উপনির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে।
ফেমার সভাপতি, মিস মুনিরা খান বলেন, “এ প্রকল্পটি বাংলাদেশের জনগনকে শান্তিপূর্ন ও তাৎপর্যপূর্ণভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য সহায়তা করবে।” তিনি আরো উল্লেখ করেন যে প্রকল্পটি আগামী জাতীয় নির্বাচন ছাড়াও অন্যান্ন নির্বাচনে, নির্বাচনী কাঠামো ও প্রক্রিয়া গতিশিল করার জন্য সহায়তা করবে।
জাপান সরকার বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন যাবত সহযোগিতা করে আসছে এবং বিগত নির্বাচনসমুহ পর্যবেক্ষণের জন্য সহায়তা প্রদান করেছে। বাংলাদেশের তৃনমূল পর্যায়ের মানুষের নিরাপত্তা উন্নয়নের লক্ষ্যে জিজিএইচএসপি’র কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৮৯ সালে। জিজিএইচএসপি’র আওতায় এ পর্যন্ত ১৭৮ টি প্রকল্পে সর্বমোট ১৩,৬৭১,২৪৬ মার্কিন ডলার অনুদান প্রদান করা হয়েছে।