বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের নিন্দা, প্রতিবাদ
ঢাকা, ১৬ নভেম্বর, প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বিরোধী দলের উপর সারাদেশে সরকার ও পুলিশ বাহিনীর নির্যাতনের যে স্টীমরোলার চলছে, তার অংশ হিসেবে বুধবার কুমিল্লার মুরাদনগরে ১৮ দলীয় জোটের মিছিলে বেপরোয়া হামলা চালিয়েছে পুলিশ ও সরকার সমর্থকেরা। ১৮ দলের নেতাকর্মীরা উপজেলা সদরে মিছিল করে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গেলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ যৌথভাবে তাদের ওপর হামলা চালায়। পুলিশের বেপরোয়া গুলি এবং টিয়ার শেলে দুই শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। পরিকল্পিত এই হামলার পরে উল্টো ৫ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ মামলা থেকে বাদ যায়নি শিশু এমনকি হজ্ব করতে গিয়ে ফেরেন এমন ব্যক্তিও। হামলার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কায়কোবাদের বাসায় হামলা চালানোর চেষ্টা চালায় আওয়ামী দুষ্কৃতিকারীরা। এখনো বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি চলছে।
মুরাদনগরে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এই অরাজকতা ন্যাক্কারজনক। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
মির্জা আলমগীল বলেন, “আমরা মনে করি, অবৈধ সরকার জনসমর্থন হারিয়ে এখন পুলিশ আর দলীয় ক্যাডারদের উপর ভর করেছে। ক্ষমতায় থেকে একতরফা নীলনকশার নির্বাচন করাই তাদের লক্ষ্য। এ কারণে বিরোধী দলকে রাজপথের আন্দোলন থেকে দূরে রাখতে কথায় কথায় গুলি চালানো হচ্ছে। দলীয় ক্যডারদের রাস্তায় নামানো হয়েছে। কিন্তু সরকারের এই খায়েশ জনগণ কখনোই পূরণ হতে দেবে না। সারাদেশের মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে এসেছে। নির্দলীয় সরকার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরে যাবে না।”
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মুরাদনগরে ১৮ দলের নেতা-কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে বিচারের মুখোমুখি করার এবং মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান। অন্যথায় জনগণই একদিন এর জবাব দেবে বলে তিনি হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন।