নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে

ঢাকা, ১৫ নভেম্বর,  প্রেস বিজ্ঞপ্তি :  প্রেস ব্রিফিং, এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব, বিএনপি।

সুহৃদ সাংবাদিকবৃন্দ,

নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষা বদলাননি। একদিকে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা, জেল-জুলুম, দমনী-পীড়ণের কমতি নেই আবার অন্যদিকে উদ্দেশ্যহীন সংলাপের ভনিতা করে এক অবাস্তব পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। বিরোধী দলের সিনিয়র নেতাদের গ্রেফতার করে প্রধানমন্ত্রী সংলাপের রাজনীতির কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিতে উদ্যত হয়েছেন। এমনকি বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তাঁর চলাচলে নানাবিধ বাধা দিয়ে তাঁকে কখনো গৃহবন্দী কিম্বা নজরবন্দী রাখা হচ্ছে কিনা সেটাই এখন মানুষের জিজ্ঞাসা।

বন্ধুরা,

বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিগুলো ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য এজেন্টরা সারাদেশময় নাশকতার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। সরকারী নেতারা এবং তাদের পক্ষীয় কিছু গণমাধ্যম দেশব্যাপী নাশকতার দায়-দায়িত্ব বিরোধী দলের ওপর চাপানোর এহেন তৎপরতা নেই যা করছেন না। অথচ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী ও তাদের পক্ষপুটে সরকারি দলের সশস্ত্র লোকেরা সীমাহীন বেআইনী শক্তি প্রয়োগ করে কত প্রাণহানী ঘটিয়েছে, কত নাগরিককে আহত করেছে সেটার সঠিক তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করতে কুন্ঠিত হচ্ছেন।

সাংবাদিক বন্ধুরা,

বর্তমান সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করে এখন অবৈধ ক্ষমতা দখলকারি হিসেবে রাজদণ্ড ঘুরিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং নিজেদের টিকিয়ে রাখার জন্য আরও বেশি জনগণের ওপর ক্রোধাগ্নি বর্ষণ করে চলেছে। উৎপীড়ণ আর নিষ্ঠুরতার মাত্রা বৃদ্ধি করে বিরোধী দলের কর্মসূচি বানচাল করার জন্য এক বেপরোয়া নৃশংসতার আশ্রয় নিয়েছে। বোমা বিষ্ফোরণ ও রহস্যময় অগ্নিসংযোগে নাশকতা সৃষ্টি করে রাজনীতিকে অমানবিকতার অনুষঙ্গ করেছেন বর্তমান সরকার। আর এটা করেছেন অন্তর্ঘাতের নোংরা খেলার অংশ হিসেবে।

এতকিছুর পরও একের পর এক চাতুরী ও চালাকীর কারনে নিজের খোঁড়া গর্তে তারা পড়ে যাচ্ছে। সংবিধান নিয়ে যা করেছেন এবং এখন যা করছেন-তা একজন খামখেয়ালী স্বেচ্ছাচারী শাসকের তামাশার মতোই। সংবিধানকে

তিনি নিজের ‘ইচ্ছে লেখার কবিতার খাতা’র ন্যায় মনে করেন বলেই মন্ত্রীরা পদত্যাগ পত্র জমা দেয়ার পরও স্বীয় পদে বহাল থাকছেন।

সংগ্রামী সাংবাদিকবৃন্দ,

কোন চাতুরীতেই ক্ষমতার একাদশী চাঁদ আর চিরস্থায়ী থাকবেনা। অবৈধ স্বত্ত্বা নিয়ে জনগণের ওপর নিপীড়ণ উৎপীড়ণ চালালে অমানিষার অন্ধকারে আপনারা ডুবে যাবেন।