দেশে প্রথমবারের মতো নারী সাইক্লিং এর আয়োজন
ঢাকা, ২ নভেম্বর, (এনএসনিউজওয়্যার) — দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো মেয়েদের সাইক্লিং প্রতিযোগিতা। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সারাি দনের এ প্রতিযোগিতায় দেশের ১০টি জেলার ৫৫ নারী সাইক্লিস্ট অংশ নেন। আমন্ত্রমূলক সাইক্লিং (মহিলা) প্রতিযোগিতা ২০১৪ নামের এ আয়োজনে সাইক্লিং এর ৬টি ইভেন্টে প্রতিযোগিতা হয়। বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থা প্রথমবারের মতো হতে যাওয়া এ ধরণের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। গতকাল সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ও বেলুন উড়িয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অংশগ্রহনকারী সাইক্লিস্টদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাঙ্গালি যাতে উন্নতি করতে পারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেজন্য দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ক্রীড়া ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। তিনি এক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ে প্রভেদ করেন না। এসময় বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থা সরকারের কাছে নারী সাইক্লিস্টদের জন্য ভ্যালু-ড্রাম নির্মাণের দাবী জানায়। অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে এ দাবী সমর্থন করে বলেন, আমি মাননীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে আপনাদের দাবী তুলে ধরে প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যবস্থা করে দেব ইনশাল্লাহ।
বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদিকা কামরুন নাহার ডানা বলেন, মেয়েদের কাছে সাইক্লিংকে জনপ্রিয় করতে তারা পর্যায়ক্রমে সারদেশব্যাপি এ ধরণের প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। তিনি এক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা আশা করেন।তিনি আরো বলেন, সরকার এগিয়ে আসলে তখন করপোরেট সংস্থাগুলো স্পনসরশিপ নিয়ে এগিয়ে আসবে। সংস্থাটির সভানেত্রী রাফিয়া আক্তার ডলি নারী সাইক্লিংকে জনপ্রিয় করতে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ক্রীড়া সাংবাদিকদের সাহায্য কামনা করেন।
বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থা জানায়, গতকাল তারা যে ৬টি ইভেন্টে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সেগুলো হলো – ১০০০ মিটার টাইম ট্রায়াল (ট্র্যাক), ৪০০০ মিটার পয়েন্ট রেস (ট্র্যাক), ২০০০ মিটার ইন্ডিভিজুয়্যাল প্যারাসুট (ট্র্যাক), এলিমিনেশন রেস (ট্র্যাক), ৪০০০ মিটার ক্রাচ (ট্র্যাক) এবং ২০০০ মিটার টীন প্যারাসুট। নেত্রকোনা, ঢাকা, রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও,গাইবান্ধা, নীলফামারী,নড়াইল ও সাতক্ষীরা এই ১০টি জেলা থেকে নারী সাইক্লিস্টরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় ২টি স্বর্ণ পদক
পেয়ে ব্যক্তিগতভাবে চ্যাম্পিয়ান হয় দিনাজপুর জেলার ইতি খন্দকার। ১টি স্বর্ণ ও ১টি রোপ্য পেয়ে যৌথভাবে রানারআপ হয় দিনাজপুরের অপর দু সাইক্লিস্ট প্রতিমা রায় ও রিমা খাতুন। ৫টি স্বর্ণ,৪টি রুপা ও ২টি তামা পেয়ে দলগতভাবে চ্যাম্পিয়ন হয় দিনাজপুর।১টি স্বর্ণ,১টি রুপা ও ১টি তামা পেয়ে পঞ্চগড় জেলা রানার্সআপ হয়। বিকেলে প্রতিযোগিতা শেষে বিভিন্ন ইভেন্টের বিজয়ী ও বিজিত খেলোয়ারদের পুরস্কার বিতরণ করেন বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মো. মিজানুর রহমান মানু। প্রেস রিলিজ