ঘুরে দাড়িয়েছে রাজউক, এগিয়ে চলছে রাজউক – পূর্ত সচিব মো: শহীদ উল্লা খন্দকার
ঢাকা, জুন ২৩ (এনএসনিউজওয়্যার) –রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) এর পাঁচ দিন ব্যাপি “রাজউক সেবা সপ্তাহ”-এর উদ্বোধন করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব জনাব শহীদ উল্লা খন্দকার। রবিবার সকাল ১১টার দিকে রাজউকের প্রধান কার্যালয়ে ফিতা কেঁটে ও বেলুন উড়িয়ে এর উদ্বোধন করেন তিনি। ২৩ জুন (রোববার) শুরু হয়ে সেবা সপ্তাহ চলবে আগামী ২৭ জুন (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে অনলাইনে আবেদন করেছেন এমন আবেদনকারীদেরভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র, নির্মাণ অনুমোদনপত্র, নামজারীপত্র ও রাজউক উত্তরা এপার্টমেন্ট প্রকল্পের ফ্ল্যাট বরাদ্দকারীদের ফ্ল্যাটের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে।
পূর্ত সচিব বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষনা করেছেন রাজউক সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে দায়িত্বে সাথে কাজ করছে। রাজউক সেবা প্রত্যাশীদের দ্রুত ও সহজে সেবা প্রদান লক্ষ্যে সেবার অনেক গুলো ধাপ কমিয়েছে। এছাড়াও অনলাইনে ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও নির্মাণ অনুমোদনপত্র প্রদান শতভাগ চালু করা হয়েছে। ধীরে ধীরে রাজউকের সকল সেবা অনলাইনে প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন, ঘুরে দাড়িয়েছে রাজউক , এগিয়ে চলছে রাজউক। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামান্য ব্যর্থতা থাকলেও রাজউকের অর্জন অনেক বেশী। তিনি বলেন, রাজউকের এই সেবা কার্যক্রম সারা মাস ব্যাপি, বছর ব্যাপি, রাজউক যতদিন থাকবে ততদিন ব্যাপি।
পূর্ত সচিব বলেন, রাজউকের সেবা সহজীকরণের ফলে সেবাগ্রহীতাদের বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে আর প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হবে না। এটি রাজউকের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, দেশের অধিকাংশ নাগরিকেরই আকাঙ্খা থাকে রাজধানীতে একটি আবাসনের ব্যবস্থা। যে কয়টি সংস্থা আবাসনের ব্যবস্থা করে তাদের মধ্যে রাজউকের কাছেই মানুষের আকাঙ্খা থাকে বেশী। রাজউকের জন্য এই বিশাল সংখ্যা নাগরিকের আবাসনের ব্যবস্থা করা একটি মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, জাতির কাছে আমাদের অনেক ঋণ রয়েছে। সেই ঋণ পরিশোধের সময় এখন। এজন্য সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্বের সাথে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন রাজউককে নজরদারি বাড়াতে হবে। কোন ভবন নকশা অনুযায়ি নির্মিত হচ্ছে কিনা তা প্রয়োজনে প্রতিটি ইঞ্চি মেপে দেখতে হবে।
পূর্ত সচিব বলেন, ভবন নির্মাণ শেষ হলে রাজউক থেকে অকুপেন্সি সার্টিফিকেট (বসবাস ব্যবহার ছাড়পত্র) নিতে হবে। অকুপেন্সি সার্টিফিকেট ছাড়া ইউটিলিটি সার্ভিস পাওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে সকল মন্ত্রণালয়ের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন। তিনি বলেন, উন্নত দেশ গুলোতে আইন অমান্য করলে জরিমানা এত বেশী যে সেসব দেশের নাগরিকরা ভয়ে আইন অমান্য করেনা। রাজউক-কেও এ ব্যাপারে কঠোর হতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি ও রাজউক এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব আমজাদ হোসেন বলেন, অটোমেশনের ক্ষেত্রে রাজউক বিশাল অগ্রগতি সাধন করেছে। গ্রাহকরা এখন রাজউকে না এসেই ঘরে বসে অনলাইনে ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও ভবন নির্মাণ অনুমোদনের আবেদন করতে পারবেন এবং অনলাইনেই তাদের আবেদন নিষ্পত্তি করা হবে। এর ফলে নীরব বিপ্লব শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, এটি চলমান প্রক্রিয়া; রাজউকের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী শতভাগ শ্রম ও মেধা দিয়ে এই কারযক্রম এগিয়ে নিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজউকের সদস্য (পরিকল্পনা) জনাব সাঈদ নূর আলম। এরপর রাজউক কর্তৃক প্রদত্ত সেবা সমূহের বিষয়ে সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা করেন নগর পরিকল্পনাবিদ জনাব আশরাফুল ইসলাম।