কোকাকোলা বাংলাদেশ ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি ট্যুরের জন্য বাংলাদেশের গান নির্বাচনে প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে
ঢাকা, ৪ ডিসেম্বর, প্রেস বিজ্ঞপ্তি: কোকাকোলা বাংলাদেশ আসল ফিফা বিশ^কাপ ট্রফি ট্যুর উপলক্ষ্যে কোকাকোলা মিউজিক ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ আওয়ারস’ এর একটি বাংলাদেশী সংস্করণ তৈরির লক্ষ্যে একটি প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। রেডিও ফুর্তির সঙ্গে ও ফুয়াদ আল মুক্তাদিরের তত্ত্বাবধানে কোকাকোলা বিশ^কাপ ট্রফি ট্যুরের অফিসিয়াল মিউজিক এর বিশেষ বাংলাদেশী সংস্করণ তৈরির জন্য সেরা ৩টি ব্যান্ড বাছাই করবে। সেরা একটি ব্যান্ড ফুয়াদ আল মুক্তাদিরের সাথে -‘দ্যা ওয়ার্ল্ড ইজ আওয়ারস’ এর বাংলাদেশী সংস্করণ তৈরি করতে একসাথে কাজ করার সুযোগ পাবে।
ফুয়াদ আল মুক্তাদির বলেন, ‘কোকা-কোলা এই প্রতিযোগীতার মাধ্যমে ফিফা বিশ্বকাপকে এবং দেশের যুব সমাজকে একসুত্রে গেঁথে তাদের মধ্যে আনন্দ ভাগাভাগি করার সুযোগ করে দিয়েছে। প্রতিযোগীতার ব্যাপক সাড়ায় আমি অভিভুত। বাংলাদেশী ব্যান্ডগুলো থেকে কিছু অসাধারণ কাজ দেখার প্রত্যাশা করছি এবং ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ আওয়ারস’ এর একটি ফ্যান্টাস্টিক বাংলাদেশী সংস্করণ তৈরীর আশা করছি।’
প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এবং তিনটি ধাপ অতিক্রম করে এটি শেষ হবে ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৩ পর্যন্ত।
রাউন্ড ১ : অংশগ্রহনকারী সকল ব্যান্ড তাদের গান রেডিও ফুর্তিতে প্রাথমিক বাছাইয়ের জন্য পাঠাবে।
রাউন্ড ২ : ফুয়াদ সেরা ১০টি ব্যান্ড বাছাই করবে যাদেরকে পূর্বনির্ধারিত লিরিক দিয়ে গান তুলতে বলা হবে। এই ১০টি ব্যান্ড থেকে ফুয়াদ সেরা ৩টি ব্যান্ড নির্বাচন করবেন; যারা ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ট্রফি ট্যুরের কোকাকোলা মিউজিকের বাংলাদেশী সংস্করণ তৈরি করতে ফুয়াদের সাথে কাজ করবেন। এই রাউন্ডে, ব্যান্ড ৩টি ফুয়াদের তত্ত্বাবধানে নিজেদের মত করে সঙ্গীতটির ভিন্ন ভিন্ন সংস্করণ তৈরি করবেন ।
রাউন্ড ৩ : তিনটি গানই রেডিও ফুর্তিতে সম্প্রচারিত হবে, একইসঙ্গে সাধারন মানুষের ভোট প্রদানের সুবিধার জন্য এগুলো দেয়া হবে ফেসবুক পেজে। সেরা বিজয়ী নির্বাচনে সাধারন মানুষের ভোট শতকরা ৮০ ভাগ এবং বাকি ২০ ভাগ বিচারকদের এবং ফুয়াদের উপর নির্ভর করবে।
বিজয়ী গানটি সম্প্রচার করা হবে ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৩ যখন প্রথমবারের মত ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি বাংলাদেশে পৌছবে।
দেবাশীষ দেব, কান্ট্রি ম্যানেজার, কোকা-কোলা বাংলাদেশ বলেন, “কোকা-কোলার সহযোগীতায় ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি ট্যুর এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ মিউজিক । এই প্রতিযোগীতা বাংলাদশের মানুষকে একসাথে মিলে মিউজিক তৈরী ও আনন্দ ভাগাভাগির সুযোগ করে দেবে। দেশের ব্যান্ডগুলো কোকাকোলার সাথে মিলে মিউজিকের প্রতি তাদের ভালবাসা থেকে চমৎকার কিছু তৈরীর সুযোগ পাবে।”
ফিফা বিশ্বকাপের জন্য ফিফার সংগে যৌথভাবে কোকা-কোলা মিউজিকের সমৃদ্ধ ইতিহাস গড়ে তুলেছে। আসল ওয়ার্ল্ডকাপ ট্রফি ট্যুর উপলক্ষ্যে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ আওয়ারস’ এর মিউজিক করেছে জনপ্রিয় ব্রাজিলিয়ান ব্যান্ড মনোবলকো এবং গানটি গেয়েছেন একই ব্যান্ডের ভোকাল ডেভিড কুরি। এই গানের মধ্য দিয়ে বিশ্বজুড়ে মানুষের স্বপ্ন পুরণের গল্প তুলে ধরা হয়েছে।
ট্রফি ট্যুর কোকাকোলার ২০১৪ বিশ্বকাপ ফুটবল প্রচারণার একটি অংশ; যা বিশ্বজুড়ে ফুটবল অনুরাগীদের মধ্যে বিশ্বকাপ ফুটবলকে আরও নিবিড়ভাবে উদ্যাপনের আহ্বান জানায়। ট্রফি ট্যুর গত ১২ই সেপ্টেম্বর ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে শুরু হয়েছে। ফিফার সহযোগিতায় কোকাকোলা আগামী ১৭, ১৮ এবং ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৩ বহুল প্রতীক্ষিত ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি বাংলাদেশে নিয়ে আসবে। এই প্রথমবারের মতো কোটি কোটি মানুষের আরাধ্য, সম্পুর্ন খাটি সোনার তৈরি ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি বাংলাদেশে আসছে।
ফিফার সঙ্গে কোকাকোলার সহযোগীতা:
১৯৭৪ সাল থেকে ফিফার সঙ্গে কোকাকোলার রয়েছে একটি সুদীর্ঘ সম্পর্ক এবং ১৯৭৮ সাল থেকে ফিফা বিশ্বকাপের অফিসিয়াল স্পন্সর হিসেবে কাজ করছে কোকাকোলা। ১৯৫০ সাল থেকে প্রতিটি ফিফা বিশ্বকাপে কোকাকোলা ষ্টেডিয়াম বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়ে আসছে। পাশাপাশি সকল পর্যায়ের ফুটবলের সংগে কোকাকোলার রয়েছে একটি সুদীর্ঘ পৃষ্ঠপোষকতা ও শুভানুধ্যায়ীর স¤পর্ক। এবার নিয়ে তৃতীয়বারের মতো কোকাকোলা ও ফিফা বিশ্ববাসীর সামনে ট্রফি ট্যুর নিয়ে উপস্থিত হচ্ছে। এর আগে ২০০৬ ও ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে ফিফার সঙ্গে একই আয়োজন করে কোকাকোলা।
বাংলাদেশে কোকা-কোলা :
কোকা-কোলা বাংলাদেশে তার মূল পণ্য কোকা-কোলা, ডায়েট কোক, স্প্রাইট, ফানটা ইত্যাদি বাজারজাতকরণের মাধ্যমে সারাদেশে হাজার হাজার ভোক্তার মন জয় করে চলছে। বিভিন্ন কর্মসূচী পরিচালনার মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়নে আরও শক্তিশালী ভূমিকা পালনে কোকা-কোলা সবসময়ই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর তাই “ঊাবৎু উৎড়ঢ় গধঃঃবৎ” এবং “ডধংয”-এর মত প্রকল্পের মাধ্যমে খাবার পানি, স্বাস্থ্যবিধি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্কুলগুলোতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা ইত্যাদি সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে সম্প্রতি কোকা-কোলা বাংলাদেশে “ঝঁঢ়ঢ়ড়ৎঃ গু ঝপযড়ড়ষ”- প্রোগ্রাম পরিচালনা শুরু করেছে। ক্যাম্পেইনটির মূল উদ্দেশ্য হলো স্কুলে যাওয়া এবং পড়া-লেখা না ছাড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।