ওয়ষ্টার্ণ মেরিন শীপইয়ার্ড লিঃ প্রশান্ত মহাসাগরে চলাচলের জন্য জাহাজ নির্মাণের চুক্তি সাক্ষর করেছে
ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর, (এনএসনিউজওয়্যার) — বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প এখন নিউজিল্যান্ড থেকে জাহাজ নির্মাণের অর্ডার প্রাপ্তির মাধ্যমে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রবেশ করলো। দেশের শীর্ষস্থানীয় জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়েষ্টার্ণ মেরিন শীপইয়ার্ড লিঃ নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে একটি টহৎবংঃৎরপঃবফ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঝঙখঅঝ (ঝধভবঃু ড়ভ খরভব ধঃ ঝবধ) চধংংবহমবৎ ংযরঢ় নির্মাণের চুক্তি সাক্ষর করেছে।
ওয়েষ্টার্ণ মেরিনের চট্টগ্রামস্থ প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মি. হেরী ষ্ট্রনাক যিনি নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ও পরামর্শক । জাহাজটি নির্মিত হবে টোকেলাউ এর জন্য যা নিউজিল্যান্ডের একটি অস্বায়ত্বশাসিত রাজ্য। জাহাজটি টোকেলাউ থেকে সামোয়া দ্বিপপুঞ্জে যাত্রী পরিবহন করবে। এই জাহাজের চুক্তি মূল্য ৬.৬ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশী মুদ্রায় যার মূল্যমান ৫২ কোটি টাকা এবং এটির নির্মাণ কাজ ২০১৪ সালের মধ্যে সমাপ্ত হবে বলে শীপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
উক্ত চুক্তি সাক্ষরের মাধ্যমে এই প্রথমবারের মতো কোন বাংলাদেশী শীপইয়ার্ড প্রশান্ত মহাসাগরে চলাচলের জন্য ডিজাইনকৃত জাহাজ নির্মাণ করতে যাচ্ছে। এই জাহাজটি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক লয়েড্স রেজিষ্ট্রারের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হবে এটি একটি পূণাঙ্গ ঝঙখঅঝ যাত্রীবাহী জাহাজ অর্থাৎ এখানে সমুদ্রে সম্ভাব্য সকল প্রকার প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা থাকবে। এই জাহাজের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৬০ জন এছাড়া জাহজটি ৫০টন কার্গো পরিবহনে সক্ষম। এটির নির্মাণ কালে প্রশান্ত মহাসাগরের অবস্থা, যাত্রার সময়কাল বিবেচনায় রেখে যাত্রীদের সার্বিক আরাম আয়েশ ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হবে। ৪৩ মিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এই জাহাজে ২৪টি নঁহশ নবফং ১৬টি ৎবপষরহরহম ংবধঃং শিশুদের খেলাধূলার জন্য একটি নিরাপদ এলাকা, যাত্রীদের জন্য ড়ঢ়বহ ফবপশ এবং ১২ জন ক্রুর জন্য আরামদায়ক থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। উপরন্তু এই জাহাজে ২টি রেফার কন্টেইনার সহ মোট ৫টি কন্টেইনার পরিবহনের সক্ষমতা এবং মালামাল উঠা-নামার জন্য ১টি ক্রেনের ব্যবস্থা থাকবে। ক্লাসের নোটেশন অনুযায়ী এখানে পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে এবং জ্বালানী সাশ্রয়ের জন্য আধূনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এই জাতীয় অত্যাধুনিক, সুপরিসর যাত্রী পরিবহনের সক্ষম জাহাজ নির্মাণের চুক্তি সাক্ষরের ফলে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।
ক্যাপশন: ওয়েষ্টার্ণ মেরিন শীপইয়ার্ড লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ সাখাওয়াত হোসেন-এর সাথে নিউজিল্যান্ড-এর পররাষ্ট্র ও বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক হ্যারি স্ট্রন্যাচ এবং ওয়েষ্টার্ণ মেরিন শীপইয়ার্ড লিমিটেড-এর পরিচালকবৃন্দ। ক্যাপশন: ওয়েষ্টার্ণ মেরিন শীপইয়ার্ড লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ সাখাওয়াত হোসেন-এর সাথে নিউজিল্যান্ড-এর পররাষ্ট্র ও বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক হ্যারি স্ট্রন্যাচ এবং ওয়েষ্টার্ণ মেরিন শীপইয়ার্ড লিমিটেড-এর পরিচালকবৃন্দ।