আজ আন্দোলনের নামে সারাদেশে নজিরবিহীন বিভীষিকাময় সহিংসতা চলছে: যোগাযোগমন্ত্রী
ঢাকা, ডিসেম্বর ৩, প্রেস বিজ্ঞপ্তি: আজ আন্দোলনের নামে সারাদেশে নজিরবিহীন বিভীষিকাময় সহিংসতা চলছে। তার দায় স্বীকার না করে বিরোধী দলের নেত্রী সরকারের ওপর দোষ চাপিয়ে উদোর পি-ি বুধোর কাঁধে চাপানের অপপ্রয়াস চালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।
মন্ত্রী আজ নিজ অফিসে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে একথা বলেন।
বেগম জিয়ার এ বক্তব্য আগুনে পোড়া দগ্ধ, মৃত এবং মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়া মানুষের সঙ্গে নির্মম তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।
তার এ বক্তব্য অনেকটা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকে আওয়ামী লীগেরই সাজানো নাটক বলে অভিহিত করার আর এক নৃশংস কৌশলের পুনরাবৃত্তি মাত্র। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পর বিএনপি নেত্রী একথাও বলেছেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে এসেছেন। এটা নিষ্ঠুর রসিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
এক লাইনের একটি প্রেস রিলিজ দিয়ে অবরোধের সময় বাড়ানোর বাস্তবতা হচ্ছে আরও লাশের সংখ্যা বাড়ানো, নাশকতা সৃষ্টি, পেট্রোল বোমা ও ককটেল মেরে আরও মানুষ মারা, পরীক্ষার্থীদের আরও ক্ষতিগ্রস্ত করা, খেটে খাওয়া মানুষের রুটি-রোজগারের পথ আরও অবরুদ্ধ করা এবং রাস্তা কেটে-রেললাইল উপড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও বিপর্যস্ত করা।
তারা অবরোধ ডেকেছেন, অথচ অবরোধ কার্যকর করার কোনো নেতা নেই। কোনো জনসমাগম নেই। জনগণ ছাড়া পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো আন্দোলন সফল হয় না। জনসমর্থনের অভাবে অতীতের মতো বিএনপি-র চলমান আন্দোলনও মুখ থুবড়ে পড়বে।
বেগম খালেদা জিয়া তফসিল স্থগিত করে সমঝোতায় আসতে বলেছেন। আমরা বিরোধীদলকে বলব, সহিংসতার পথ ছেড়ে নির্বাচন ও শান্তির পথে আসুন। সব দলের সমান সুযোগ সৃষ্টির জন্য নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগকে আমরা পুরোপুরি সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি। এর কোনো ব্যত্যয় ঘটলে বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জনের পথ খোলা আছে।
একদিকে হরতাল ও অবরোধের নামে বোমা মেরে মানুষ মারা হচ্ছে, সরকারি সম্পদ বিনষ্ট করা হচ্ছে অন্যদিকে তিনি বলছেন দেশের কোথাও কোনো নিরপরাধ সাধারণ মানুষের ওপর যেন হামলা না হয়, কোথাও যেন তাদের সম্পদ নষ্ট করা না হয়। এটা রাজনীতির নিষ্ঠুর দ্বিচারিতা ও মিথ্যাচারের পরাকাষ্ঠা। বৃদ্ধ, নারী ও শিশুদের মারা হচ্ছে আর তিনি মায়া কান্না দেখাচ্ছেন।
নাভারন-ইলিশপুর-সাতক্ষীরা আঞ্চলিক মহাসড়কের ইলিশপুরে ৩৫তম কিলোমিটারে ২ ফুট প্রশ্বস্থ করে ৪ ফুট রাস্তা কেটে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও যশোর-নড়াইল আঞ্চলিক মহাসড়কে নড়াইলের ৪ কিলোমিটার দূরে সীতারামপুর ব্রিজ নির্মাণস্থলে ডাইভারসন বেইলীতে গতরাতে আগুন দিয়েছে অবরোধকারীরা। এটা আন্দোলন হতে পারে না। আন্দোলনের নামে দেশের ১৬ কোটি মানুষকে জিম্মি করা হচ্ছে। মানুষ মারার রাজনীতি চলছে।
এছাড়া মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী বলেছেন যে, এক মন্ত্রী বলেছেন সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে ফেললে তাদের নেতাদের ছেড়ে দেয়া হবে। এধরণের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য তিনি রাখেন নি। এমনকি কোনো ভিডিও ক্লিপিংএ এধরণের বক্তব্য নেই বলে তিনি চ্যালেঞ্জ করেন। ২-৩ টি পত্রিকা ভূলবশত: এধরণের খবর ছেপেছে বলে তিনি জানান।
জাতীয় পার্টির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা-না করা প্রশ্নে মন্ত্রী জানান, হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ-এর মুখ থেকে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত শেষ কথা শোনার সময় এখনও শেষ হয়ে যায়নি।