আইটিইই পরীক্ষায় এশিয়ার সাতটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয়
ঢাকা, ২৬ নভেম্বর, প্রেস বিজ্ঞপ্তি: প্রথমবারের মত ইনফরমেশন টেকনোলজী ইঞ্জিনিয়ার্স এক্সামিনেশনে (আইটিইই) অংশ নিয়ে এশিয়ার সাতটি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম স্থান অর্জন করে ভিয়েতনাম। বিডি-আইটেকের প্রকল্প পরিচালক ড. শেখ আমজাদ হোসেন আইটিইই কতৃর্পক্ষের তথ্য অনুযায়ী গতকাল (২৬ নভেম্বর ) এ ফলাফল প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ থেকে সর্বমোট ২৫ জন পরীক্ষার্থী আইটিইইতে কৃতকার্য হয়েছে বলেও জানান প্রকল্প পরিচালক। আগামী ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে আইটিইই পরীক্ষায় উত্তীর্নদেও মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হবে। আইটি গ্রাজুয়েট ও পেশাজীবিদের আর্ন্তজাতিক দক্ষতা পরিমাপের লক্ষে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সীর (জাইকা) সহযোগিতায় গত ২৭ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে অনুষ্ঠিত হয় এ পরীক্ষা। বাংলাদেশের ১৫৮ জন আইটি পেশাদার সম্পূর্ন বিনা খরচে ইনফরমেশন টেকনোলজী ইঞ্জিনিয়ার্স এক্সামিনেশনে অংশ নেন। আইটিইই প্রসঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, আইটিইইতে বাংলাদেশের সাফল্য আইটি পেশাজীবিদের কাজের গতি বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে নতুন পরিচয়ে পরিচিত করেছে। উল্লেখ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর অধীন “বাংলাদেশ আইটি ইঞ্জিনিয়ারস এক্সামিনেশন সেন্টার (বিডি-আইটেক)” এর মাধ্যমে দেশে প্রথম বারের মতো জাপান সরকারের সহায়তায় তথ্য প্রযুক্তি পেশাজীবিদের দক্ষতা পরিমাপক আইটিইই পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা হয়। জাপানে এটি আইটি প্রোফেশনালদের মান নিয়ন্ত্রক জাতীয় পরীক্ষা পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত এবং বছরে পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে থাকে। এশিয়ার ১২টি দেশে মিউচুয়ালি এই পদ্ধতি চালু আছে। বাংলাদেশে এই পরীক্ষা পদ্ধতির ফলে দেশের আইটি পেশাজীবিগণ তাদের দক্ষতার পরিমাপ করতে পারবেন এবং এই সার্টিফিকেট অর্জনের ফলে দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে।